কোর্ট রিপোর্টার ॥ দেশের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল “বিডি নিউজ ২৪ ডট কম’র” প্রধান সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২শ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, “বিডি নিউজ ২৪’র” প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদ, বার্তা সম্পাদক অরুন দেবনাথ, বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির, ও বার্তা সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে আসামী করা হয়। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট পলি আফরোজ মামলাটি গ্রহণ করেন। এসময় আদালতে বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০জন এ্যাডভোকেট। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. তালুকদার মো: ইউনুস (সাবেক এমপি), জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচত সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আফজালুল করীম, এ্যাড. ওবায়েদুল্লাহ সাজু, এ্যাড. মহসিন মন্টু, এ্যাড. মজিবুর রহমান, এ্যাড. আতিকুর রহমান জুয়েল, এ্যাড. হুমায়ুন কবির-১, এ্যাড. রফিকুল ইসলাম ঝন্টু, এ্যাড. রেজাউল হক, এ্যাড. মিলন ভূইয়া, এ্যাড. মুনিবুর রহমান লিটু, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, এ্যাড. জালাল আরেফিন, এ্যাড. অরুন, এ্যাড. মেহেদী হাসান, এ্যাড. নুপুর ভদ্র ও মামলার বাদী কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিডি নিউজ ২৪ তাদের অনলাইন পোর্টালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ডা: এইচবিএম ইকলাবের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ২০০৭, ২০০৮, ২০১৫ ও ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। যে বিষয় নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা উচ্চ আদালত থেকে এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবারকে বেকসুর খালাশ প্রদান করা হয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে মামলার রায়ের পরেও বিডি নিউজ তাদের পোর্টাল থেকে উল্লেখিত সংবাদ সংশোধন কিংবা সরিয়ে না নেয়ায় তা এখনও তাদের অনলাইনে দৃশ্যমান রয়েছে যা দেশ বিদেশে ডা: এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবারের সম্মান হানি ঘটাচ্ছে। এবিষয় দুটি উকিল নোটিশ মামলার আসামীদের প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরই প্ররিপ্রেক্ষিতে ডা: এইচবিএম ইকবালের বন্ধু ও শুভাকাঙ্খি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে প্রধান সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২শ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply